দেশের পর্যটনশিল্পে সক্ষমতা বেড়েছে : বিমানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান আজ মঙ্গলবার সচিবালয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে কথা বলেন। ছবি : পর্যটন মন্ত্রণালয়

বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, গত ১৫ বছরে দেশের পর্যটন ও এভিয়েশন শিল্প ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গেছে। এ সময়ে আমাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন রুট চালু করা হয়েছে এবং আগামী ২৬ মার্চ তারিখে ঢাকা-রোম ফ্লাইট চালু হবে। দেশের সকল বিমানবন্দর আধুনিকায়ন করার কাজ চলমান। এ বছরই অক্টোবর মাসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। নতুন রাডার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের সমগ্র আকাশসীমা নজরদারির আওতায় আসায় আমাদের আকাশসীমা দিয়ে চলাচলকারী উড়োজাহাজ হতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

বিমানমন্ত্রী বলেন, শীতকালে প্রায়ই কুয়াশার কারণে ফ্লাইট ডাইভারশন করতে হয়। এই ডাইভারশন যাতে করতে না হয় তার জন্য আইএলএস সিস্টেম আপগ্রেড করা হচ্ছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে যে, কোন ফ্লাইট ডাইভারশনের প্রয়োজন হলেও তা যেন দেশের ভিতরেই করা হয়। 

ফারুক খান বলেন, সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কাজের ফলে ইতোমধ্যেই দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন আমরা বিদেশি পর্যটক বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। দেশের পর্যটনের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার চেষ্টা চলছে। পুরাতন হয়ে যাওয়া বিভিন্ন পর্যটন স্থাপনা সংস্কার এবং এর কলেবর বৃদ্ধির জন্য দেশী-বিদেশী যৌথ বিনিয়োগ বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।