পটুয়াখালীতে শ্যামসুন্দর মন্দিরের বিগ্রহ ও স্বর্ণালঙ্কার লুট

Looks like you've blocked notifications!

পটুয়াখালীর শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর মদনমোহন জিউর মন্দিরে বিগ্রহ ও স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে সদর উপজেলার মৌকরন ইউনিয়নের ললিতা হাওলাদার বাড়ির শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দর মদনমোহন জিউর মন্দিরে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।

চুরির ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্দির কমিটির সভাপতি গৌতম দেবনাথ। অভিযোগে জানানো হয়, শুক্রবার ভোরের দিকে মন্দিরের সেবায়েত অমরি দেবনাথ প্রণাম করার উদ্দেশে মন্দিরে গিয়ে দেখেন মন্দিরের লোহার গেট ভাঙা। এসময় মন্দিরের মধ্যে থাকা পাঁচটি পিতলের প্রতিমা স্বর্ণালঙ্কার ও দানের নগদ অর্থ সহ আনুমানিক দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।

মন্দিরের সেবায়েত অমরি দেবনাথ বলেন, আমি রাতে সেবা পূজা শেষ করে মন্দিরে তালা দিয়ে ঘরে যাই। পরের দিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে মন্দিরে গিয়ে দেখি মন্দিরের গ্রিল ভাঙ্গা ও মন্দিরের সব মালামাল এলোমেলো। তখন আমি মন্দিরের মধ্যে ঢুকে দেখি ভিতরে ঠাকুরের বিগ্রহ নাই। ঠাকুরের গলায় হাতে সোনা ও রুপার অনেক অলংকার ছিল, মন্দিরে নগদ টাকা ছিল সেগুলো কিছুই নেই। পরে আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন চলে আসে।

মন্দিরের সভাপতি গৌতম দেবনাথ বলেন, আমি সকালে ঘুমানো ছিলাম নিজ ঘরে। মন্দিরের সামনে চিৎকার শুনে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি মন্দিরের দরজা ভাঙ্গা। আর ভিতরে প্রতিমার কয়েকটি কাপড় ও কয়েকটি ছবি ব্যতীত আর কিছুই নাই। এ ব্যাপারে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মৌকরন ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য কাজী সুমন জানান, তিনি মন্দির চুরির ঘটনাটি জানতে পেরেছেন। মন্দির পরিদর্শন করেছেন। মন্দিরের দরজা ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা চেয়েছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।