বিএনপি দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর : ওবায়দুল কাদের

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপি দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের৷ আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি বিএনপির কোনো আস্থা নেই। দলটি দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনা ছাউনিতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সূচনালগ্ন থেকেই বিএনপি অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের পথ রুদ্ধ করে রাজনীতি করে আসছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসী রাজনীতির প্রতিভূ এবং জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলাটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছিল, যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিগোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, যারা ১০ ট্রাক অস্ত্র আমদানি করেছিল, যারা অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের দল যখন জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে তখন জনগণ আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আন্তর্জাতিক আদালতে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির যেসকল সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা অগ্নিসন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করাটা কোনোভাবেই হয়রানিমূলক হতে পারে না। সন্ত্রাসীদের আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য। 

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, একথা আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও প্রমাণিত যে, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণ যেকোনো সময়ের তুলনায় স্বস্তিতে বসবাস করছে। যেকোনো মূল্যে আমরা জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাব।