গাজীপুরের শ্রীপুরে কলাবাগান থেকে মালেকা বানু (৩৫) নামের এক গৃহবধূর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের গুতারবাজার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার ওই গ্রামের কাঠমিস্ত্রি বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী।

এ ঘটনায় নিহত মালেকা বানুর স্বামী বাচ্চু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মালেকা বানুর ছোট ভাই মো. সুজন মিয়া জানান, ১৮ বছর আগে বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে মালেকা বানুর বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী অনেক দিন ধরে যৌতুক হিসেবে ওয়ারিশ এনে দেওয়ার জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

সুজন মিয়া বলেন, ‘গতকাল বুধবার রাত ৩টার দিকে আমাদের জানানো হয়, মালেকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর রাতে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। আজ সকাল ৯টার দিকে জানতে পারি, বাড়ির অদূরে কলাবাগানে অগ্নিদগ্ধ মরদেহ পড়ে আছে। এরপর আমরা কয়েকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দগ্ধ বিকৃত মরদেহ দেখতে পাই।’

সুজন মিয়া দাবি করেন, ‘গতকাল রাতে মালেকাকে তাঁর স্বামী বাচ্চু অনেক মারধর করছেন। নির্যাতনের পর আমার বোনকে সে পুড়িয়ে মেরে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন।’  

নিহতের ছেলে মানিক মিয়া বলে, ‘মা-বাবার মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত ঝগড়াঝাটি হতো। গতকাল বুধবার রাতে আমি আমার কারখানায় কর্মরত ছিলাম। কর্মস্থল থেকে সকাল ৭টার দিকে বাড়িতে যাই। কিছুক্ষণ পর শুনতে পাই মায়ের মরদেহ পাওয়া গেছে। সব সময় ঝগড়াঝাটি হলে মা অন্য বাড়িতে চলে যেতেন। কিন্তু আজ এই দৃশ্য দেখতে হবে বুঝতে পারিনি।’ 

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধে হত্যার পর গৃহবধূর গায়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা চেষ্টা চালানো হয়েছে।’ 

আজমীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’