বেইলি রোড ট্রাজেডি : চার আসামি কারাগারে

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর বহুতল ভবনটি। ছবি : ফোকাস বাংলা

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (৪ মার্চ) দুদিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন—ভবনটির চুমুক রেস্টুরেন্টের দুই মালিক আনোয়ারুল হক, শফিকুর রহমান রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসান, ভবনের ম্যানেজার মুন্সি হামিমুল আলম বিপুল। একইসঙ্গে জামিন শুনানীর জন্য আগামীকাল ৫ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এর আগে শনিবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক আবু আনসারি সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত তাদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুক্রবার ভবনটির নিচতলার চুমুক রেস্টুরেন্টের দুজন মালিক আনোয়ারুল হক, শাকিল আহমেদ রিমন, কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জয়নুদ্দিন জিসানকে আটক করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ। পরদিন শনিবার ভবনের ম্যানেজার হামিমুল হক বিপুলকে আটক করে রমনা থানা পুলিশ।

গত বৃহস্প‌তিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত  ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে।

এ ঘটনায় ১ মার্চ পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের জন্য গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ ও শ্বাসনালীতে ধোঁয়া প্রবেশ করে জীবন বিপন্নসহ মারাত্মক জখম ও এর ফলে মৃত্যু ঘটানো এবং ক্ষতিসাধন করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।