নিঃশর্ত মুক্তি, পুনর্বাসনসহ ৭ দফা দাবি

কেএনএফের সঙ্গে শান্তি কমিটির দ্বিতীয় দফায় সরাসরি সংলাপ

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে মুখোমুখি সংলাপের পর প্রেসব্রিফিংএ কেএনএফের রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সাধারণ সম্পাদক মি. লালজংময়। ছবি : এনটিভি

দীর্ঘ চার মাস পর বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির দ্বিতীয় দফায় সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সংলাপ ঘিরে রুমা উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

মুখোমুখি এই সংলাপে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লার নেতৃত্বে কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা, কমিটির সদস্য সিঅং খুশী, সিংইয়ং ম্রো, মনিরুল ইসলাম মনু, উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যাসহ ১৩ সদস্য অংশ নেন। কেএনএফের পক্ষে সংগঠনের মুখপাত্র ও রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সাধারণ সম্পাদক  লাল জং ময় বমের নেতৃত্বে কেএনএফের আট সদস্য সংলাপে অংশ নেন। অন্যরা হলেন- কেএনএফ'র সেন্ট্রাল কমিটি ও টিম লিডার, রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সাধারণ সম্পাদক মি. লালজংময়, সাংগঠনিক সম্পাদক লালসাংলম, উপদেষ্টা লালএংলিয়ান, এক্সেকিটিভ মেম্বার পাস্টর ভানলিয়ান, গ্রাহাম বম, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য রুয়াললিন বম, সাংপাহ খুমি, আজৌ লুসাই প্রমুখ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির মুখপাত্র কাঞ্চনজয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, সকালে ১০টায় শুভক্ষণের কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংলাপ শুরু হয়। প্রথম দফায় চার মাস আগে (গত বছরের ৫ নভেম্বর) সরাসরি সংলাপ হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় সংলাপে দীর্ঘক্ষণ কেএনএফের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা এবং  পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কেএনএফ সদস্যরা পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন।

বান্দরবানের রুমায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠানে কেক কাটছেন অংশগ্রহণকারীরা। ছবি : এনটিভি

রিপ্রেজেন্টেটিভ ফর পিস ডায়ালগের সাধারণ সম্পাদক মি. লালজংময় বলেন, পাহাড়ে চলমান সংঘাত, পর্যটকদের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়া এবং অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কেএনএফ জড়িত নয়।  কেএনএফ বন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার এবং বিদেশে অবস্থানকারীদের ফিরিয়ে আনা, পুনর্বাসন করাসহ সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো পূরণ করা হলে কেএনএফ সদস্যরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সম্মত।

শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা বলেন, সংলাপে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। পাহাড়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং কেএনএফের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কেএনএফ সাতটি দাবি তুলে ধরেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় সংলাপে আলোচনার বিষয়গুলো নিয়ে আগামী এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আবারও বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।