কিশোরী গৃহকর্মী (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ আওয়ামী লীগনেতা, ওই কিশোরীর মাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায়। গতকাল মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির।

পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে ওই কিশোরী জুড়ী থানায় এসে কান্নাকাটি করে অভিযোগ জানায়। সে জানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সামছুজ্জামান রানুর (মহালদার) বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে। একই এলাকার থাকায় তার মা তাকে ওই বাসায় গৃহকর্মীর কাজে দেন। ওই আওয়ামী লীগনেতা একদিন তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি সে তার মাকে জানিয়ে কোনো প্রতিকার পায়নি। ফলে ওই বাসা থেকে পালিয়ে অন্য জায়গাতে কাজ নেয়। পরবর্তী সময়ে শফিকুল নামে এক ব্যক্তির সহায়তায় আর এমন করা হবে না প্রতিশ্রুতিতে আবারও সে কাজে যোগ দেয়। তবে সামসুজ্জামান রানু পুনরায়  তাকে তার রুমে নিয়ে গত ১ মার্চ ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী আবারও বাসা থেকে পালিয়ে যায়।

এরপর সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে জুড়ী থানায় এসে কান্নাকাটি করে ধর্ষণ ঘটনার বর্ণনা দেয় এবং আওয়ামী লীগনেতা রানুসহ তিনজনের নামে মামলা করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সামছুজ্জামান রানু, কিশোরীর মাসহ তিনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

কিশোরীর মা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্বামীহারা তাই অভাবের তাড়নায় লোভে পড়ে এ কাজ করেছেন। সামসুজ্জামান রানু বাসায় একা থাকেন। তাঁর দুই স্ত্রী পৃথক দুই জায়গায় বসবাস করেন।