রায় ঘোষণার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নারায়ণগঞ্জে স্কুলছাত্র জয়ন্ত চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর রায় ঘোষণার ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) রাতে জেলার রূপগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তার শাহিন (৩০) রূপগঞ্জ উপজেলার মঙ্গলকালী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
সনদ বড়ুয়া জানান, ২০১৮ সালের ৫ জুন শিশু জয়ন্ত চন্দ্র দাসকে (১০) অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসামিরা। অপহরণের একদিন পর ৬ জুন মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জয়ন্তকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে উপজেলার বানিয়াদি এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় জয়ন্তের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জয়ন্তের বাবা চৈতন্য চন্দ্র দাস বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এই মামলায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা প্রধান আসামি শাহিনসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন উপজেলার বলাইনগর এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে আলমগীর (২৭), বনিয়াদি এলাকার রাজকুমারের ছেলে অনিক চন্দ্র দাস (২৭) ও একই এলাকার সন্তোষ চন্দ্র দাসের ছেলে আশিক চন্দ্র দাস (৩০)। এদের মধ্যে অনিক চন্দ্র দাস রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
শিশু জয়ন্ত চন্দ্র দাস রূপগঞ্জের বানিয়াদি এলাকার চৈতন্য চন্দ্র দাসের ছেলে। সে স্থানীয় শিশু মেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।