গণমাধ্যকর্মীকে কারাদণ্ড : কারণ তদন্তে শেরপুরে তথ্য কমিশনার

Looks like you've blocked notifications!
নকলা উপজেলায় গণমাধ্যমকর্মীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়ার কারণ তদন্তে তথ্য কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি শহিদুল আলম ঝিনুক শেরপুরে। ছবি : এনটিভি

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শেরপুরের নকলা উপজেলার এক গণমাধ্যমকর্মীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া নিয়ে তদন্ত করছেন তথ্য কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি শহিদুল আলম ঝিনুক। আজ রোববার (১০ মার্চ) দিনব্যাপী তথ্য কমিশনার তাঁর কর্মব্যস্ত দিন কাটান।

গত ৬ মার্চ বুধবার দৈনিক দেশ রূপান্তরের নকলা উপজেলা প্রতিনিধি শফিউজ্জামান রানাকে অসদাচরণের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা শিহাবুল আরিফ ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। গণমাধ্যমকর্মী রানা সেদিন উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে তথ্য অধিকার আইনে একটি বিষয়ে তথ্য চেয়ে আবেদন করলে এই বিপত্তি শুরু হয়।

এদিকে গণমাধ্যমকর্মী শফিউজ্জামান রানার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেদিন রানা তার ছেলেকে নিয়ে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে যান একটি তথ্য জানার জন্য এবং তিনি নিয়মমাফিক আবেদন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ব্যাপারে ৭ মার্চ দৈনিক দেশ রূপান্তর ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তরের সম্পাদক জেলে’ এমন শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই, তথ্য কমিশনের পক্ষ থেকে তথ্য কমিশনার ও সাবেক বিচারপতি শহিদুল আলম ঝিনুক তদন্ত করতে আজ শেরপুর আসেন। তিনি গণমাধ্যমকর্মী রানার পরিবার এবং জেলে থাকা রানার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কথা বলেন, নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিনের সঙ্গেও।

এদিকে তথ্য কমিশনারের আগমনের খবরে উপজেলা সরকারি কর্মচারী সমিতি উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নেয় এবং তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে স্লোগান দেয়। এ সময় কতিপয় ঠিকাদারকেও তাদের সঙ্গে অবস্থান নিতে দেখা যায়।