ঈদের আগে-পরে ৬ দিন ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা

Looks like you've blocked notifications!

ঈদের তিন দিন আগে ও তিন দিন পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে। আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে এমন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে আরও বলা হয়েছে, আবহাওয়া সংকেত অনুসরণপূর্বক লঞ্চ পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও কালবৈশাখী মৌসুমে অধিকতর সতর্কতার সাথে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। রাতের বেলায় সকল প্রকার বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া আগামী ৬ এপ্রিল হতে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত দিন-রাত সার্বক্ষণিক সকল বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথে ফিটনেসবিহীন নৌযান ও ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হবে; অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী সাধারণের সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে যাতায়াতের নিমিত্ত ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় গার্মেন্টস ও নিটওয়ার সেক্টরের নিয়োজিত কর্মীদের এলকাভিত্তিক/পর্যায়ক্রমে ছুটি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর হটলাইন নম্বর : ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করবেন। সকল প্রকার যাত্রী হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে বেশি বা কম ভাড়া আদায় করা হলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে ; কোন ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না; ঈদের আগে ৫ দিন সদরঘাট হয়ে নির্গমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে পাঁচদিন অন্যান্য নদীবন্দর হতে সদরঘাটে আগমনকারী সকল যাত্রীবাহী নৌযানে মালামাল পরিবহণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে; ঈদের আগে ও পরে লঞ্চের মাধ্যমে মোটরসাইকেল পরিবহণ করতে পারবে।