বর্জ্যকে আমরা সম্পদে রূপান্তরিত করতে চাই : পরিবেশমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ইউএসএআইডি ও ঢাকা কলিংয়ের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি : এনটিভি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশের বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। বর্জ্য থেকে সার উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। এখন থেকে সরকারের এ কাজে সহায়তার জন্য ঢাকার বস্তিগুলো থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করবে ইউএসএআইডি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সচিবালয়ে ইউএসএআইডি ও ঢাকা কলিংয়ের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে একথা জানান পরিবেশমন্ত্রী।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে বিভিন্ন খাতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে শুধু শহর না, সকল এলাকার বর্জ্যেরই ব্যবস্থাপনা করতে হবে। এগুলো সংগ্রহ করে সরকারি এবং বেসরকারিভাবে সার উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।

মন্ত্রী বলেন, বর্জ্য থেকে মানসম্পন্ন সার পাওয়া গেলে আমরা আমদানি কেন করবো? বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন শুরু হলে সার আমদানি কমে যাবে। এতে আমাদের অনেক বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ১০০ কর্মদিবসের কর্মসূচির মধ্যে ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার পর্যায়ে আছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পুরো ইকোসিস্টেমের দিকে আমরা তাকাচ্ছি। কীভাবে সেটার উন্নয়ন ও কার্যকর করা যায় তা ভাবা হচ্ছে। আপাতত কঠিন বর্জ্য বা সলিড ওয়েস্ট নিয়ে কাজ হবে। পর্যায়ক্রমে মনুষ্য বর্জ্য, ট্যানারি বর্জ্য, ই-বর্জ্য, মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়েও কাজ হবে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিককেও পুনর্ব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতের প্রয়োজন বিবেচনায় এখন থেকেই জায়গা চিহ্নিত করে জমি অধিগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে।

সাভারের ট্যানারির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সেখানকার বর্জ্য থেকে যে ক্রোমিয়াম পাওয়া যাচ্ছে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করতে চায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।