নিখোঁজের ৭ দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিখোঁজের সাত দিন পর ডোবায় মিলেছে আল-আমিন মরদেহ। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিখোঁজের সাত দিন পর ডোবায় মিলল আল-আমিন (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে পৌর শহরের স্টেডিয়ামপাড়া এলাকার ডোবা থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ।

নিহত যুবক আল-আমিন শহরের কমলপুর গাছতলাঘাট এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম।

এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানায়, আল-আমিন একজন পাদুকা শ্রমিক ছিলেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজকর্ম করতেন। গত ১২ মার্চ সকালের পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করেও তাঁর খোঁজ মেলেনি।

আজ দুপুরে স্থানীয়রা ডোবায় কুচুরিপনার নিচে একজনের মরদেহ দেখতে পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ দিকে নিহত আল-আমিনের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে।

এ বিষয়ে নিহত আল-আমিনের বড় বোন মুন্নি বলেন, প্রথম রোজা থেকে আমার ভাইকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর আমার ভাইয়ের সন্ধানে থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করতে গেলে থানার ওসি ও এসআই নাজমুল আমাদের লিখিত অভিযোগ নেননি। তারা আমাদের গালাগাল করে বের করে দেন।

নিহত আল-আমিনের  ভাই রাকিব জানান, স্থানীয় রনি নামের এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ভাইয়ের দ্বন্দ্ব চলছিল। রনি কিছু দিন আগে মিথ্যা অভিযোগে তার ভাইকে জেলও খাটিয়েছেন। তাই রনি এই হত্যা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে তিনি দাবি করেন। 

এ বিষয়ে ভৈরব থানা ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজের অভিযোগ থানায় রাখেনি, এমন কিছু আমার জানা নেই। তবে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।