আসমা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সব সদস্যের অনাস্থা
সরকারি দলের ক্ষমতার অপ্যব্যবহার, এলজিএসপি, টিআর, কাবিখাসহ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বরাদ্দ করা নানা খাতের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ছন্দুর বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে পরিষদের ১২ সদস্য।
এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাবার কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
গত বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে সদস্যেদের ডাকা এক জরুরি সভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে আসমা ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান, হাফিজুর রহমান, হাসনা বেগমসহ ১২ সদস্য স্বাক্ষরিত চিঠি ইউএনওর কাছে দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, আসমা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম পরিষদের বরাদ্দ করা নলকূপ নিজস্ব লোকের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে দেন, গত ৬ মাস ধরে পরিষদের কোনো সভা করেন না, এলজিএসপি, টিআর, টিআর, কাবিখা, কাবিটাসহ বরাদ্দ করা অর্থ আত্মসাৎ এবং পরিষদের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের বিল-ভাইচার স্বাক্ষর করান। তিনি সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণও করেন।
আসমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবুর রহমান বলেন চেয়ারম্যান পরিষদের প্রকল্প এলে সাধারণ মানুষকে প্রকল্পের সভাপতি করে কাজ করান, কিন্তু আমি নির্বাচিত সদস্য হওয়ার পরও আমাকে দিয়ে কাজ করান না। বিল উত্তোলনের সময় জোরপূর্বক বিলে স্বাক্ষর করান, আমরা এলাকায় কোনো কাজ করতে পারি না। কোনো প্রকল্প আমাদের দেন না, খারাপ আচরণ করেন। সম্পতি পরিষদের কক্ষে বসে আমরা সব সদস্য ইফতার করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি আমাদের সেখান থেকে বের করে দেন। আমরা চাই ওনাকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
আসমা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য লিটন বলেন, আমরা অনাস্থা দিয়েছিলাম, পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বিষয়টি সমাধানের জন্য সময় নিয়েছেন। আগাকীকাল একটি শালিশ হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যপারে আসমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানি না, যারা অভিযোগ দিয়েছে তারাই প্রকল্পের সভাপতি সেক্রেটারি তারাই টাকা আত্মসাৎ করেছে। তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে বারহাট্টা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার বলেন, আমি অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।