ভয়াবহ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ নয় : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক যে চেতনা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর স্বাধীনতার সেই স্বপ্ন আজ ভুলুণ্ঠিত। দেশের অবস্থা ভয়াবহ। মানুষ কথা বলার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। দেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে ফ্যাসিস্ট রেজিম সরকার। ভয়াবহ এই শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই এতো সহজ নয়।

আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশ করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ দেশের অবস্থা ভয়াবহ। বিশেষ টেকনোলজি ব্যবহার করে দেশের মানুষকে জিম্মি করেছে। প্রতিটি মানুষকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে; কেউ অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বললেই তাকে ধরে নিয়ে জেলে বন্দি করে রাখা হচ্ছে।  এ কারণে ভয়াবহ শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই এতো সহজ নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বিগত আন্দোলনে বিএনপির ২২ জন রাজপথে প্রাণ দিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঘরছাড়া করে রেখেছে। যারা কারাগারে ছিল তাদের ওপর ভয়ংকর টর্চার করা হয়েছে। ১৫০০ কর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে জামিন পাওয়ার পরে আবারও নতুন মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিব আক্ষেপ করে বলেন, গত দুই বারের মতো সরকার এবারও নিজেরা নিজেরা একটি তামাশার নির্বাচন করেছে। এই নির্বাচন দেশের মানুষতো গ্রহণ করেইনি, আন্তর্জাতিক বিশ্বও গ্রহণ করেনি। নিজেদের স্বার্থে সরকার সংবিধানে কাটাছেঁড়া করেছে; সেখানে একটি দল, পরিবার ছাড়া কিছুই নেই।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, পবিত্র  রমজান মাসে সাধারণ মানুষের চিড়া-মুড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা এখন নেই। অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। ১৪ বিলিয়ন ডলার লুট হয়েছে। ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে আরেকটি দুর্নীতি করতে।

ছাত্রদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করেছে, আপনারা কি করছেন? আন্দোলন কোথায়? উত্তর দিতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। যুব সমাজের মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে রুখে দাঁড়তে হবে, পুলিশ দেখে ভয় পেলে চলবে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে প্রতিবাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করুন, আপনারা সফল হবেনই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডেনার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফত, ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।