সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে যশোর, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনীর কিছু অংশ : আইনুন নিশাত
পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন–বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেছেন, ১০০ বছরের মধ্যে যশোর থেকে গোপালগঞ্জ, গোপালগঞ্জ থেকে চাঁদপুর ও চাঁদপুর থেকে ফেনী—এসব অঞ্চলের দক্ষিণাংশ সমুদ্রের অংশ হয়ে যাবে। এমনকি অর্ধশত বর্ষের মধ্যেও এমনটি হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। আর ঢাকার চারপাশের জমিও লবণাক্ত হয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন এই বিশেষজ্ঞ।
‘উপকূলের জীবন ও জীবিকা : সংকট ও করণীয়’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে আজ শনিবার (৩০ মার্চ) অধ্যাপক আইনুন নিশাত এসব কথা বলেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) আয়োজিত এই সংলাপে জাতিসংঘের সংস্থা ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। ১৯৫টি দেশ একমত হওয়ার পর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইপিসিসি।
অধ্যাপক নিশাত জানান, রাজশাহী থেকে সিরাজগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব—এই সারির মধ্যাঞ্চল লবণাক্ত হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ঢাকা শহর খুব উঁচু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ২৫ ফুট। ঢাকা শহরের চারপাশ লবণাক্ত হয়ে যাবে। কামরাঙ্গীরচর বা জিঞ্জিরার উচ্চতা পাঁচ থেকে ছয় ফুট। এসব এলাকা পানির তলায় চলে যেতে পারে।
ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও রোমান ক্যাথলিক চার্চ ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি’ক্রুজের সভাপতিত্বে সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী এবং বেসরকারি সংস্থা ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপক মো. ইকবাল ফারুক। এতে বক্তব্য দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ধরার সহ–আহ্বায়ক শারমীন মুরশিদ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের বেসরকারি উপদেষ্টা ও ধরার সহ–আহ্বায়ক এম এস সিদ্দিকী। এ ছাড়া ধরার সদস্যসচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন ধরার সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র।