ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ওয়ালির জীবন বাঁচাতে প্রয়োজন ২০ লাখ টাকা

Looks like you've blocked notifications!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. ওয়ালি উল হাসান কিডনি ক্যানসারে (Bone metastatic & স্টেজ ফোর) আক্রান্ত। ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে ইতোমধ্যে ৮০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। সম্প্রতি হাড়ের পেলভিস ফিক্সেশন অপারেশন করাতে ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। যা ওয়ালি উল হাসানের পরিবারের পক্ষে যোগার করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ওয়ালি ঢাবি অ্যালামনাই, সমাজের বিত্তবানসহ সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষে অগ্রণী ব্যাংকের মাদারীপুর শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ওয়ালি উল হাসান। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর গত দুই বছর ধরে বিনা বেতনে চিকিৎসাজনিত ছুটিতে রয়েছেন তিনি।

ওয়ালির চিকিৎসার বিষয়ে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে। এনটিভি অনলাইনের মাধ্যমে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

রোগ শনাক্তের সময়ের কথা জানতে চাইলে ওয়ালি উল হাসান বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে হাঁটার সময় পায়ের রগে টান লাগা থেকে সমস্যার শুরু। পরে ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা ও মাদারীপুরে অর্থোপেডিক, নিউরোসার্জন, নিউরোমেডিসিন ডাক্তারদের পরামর্শে ওষুধ সেবন করে সাময়িক ব্যথা কমলেও পায়ের ব্যথা পুরোপুরি ভালো হয়নি। বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারতাম না। দিন দিন সমস্যা বেড়েই চলছিল। ২০২২ সালের ১১ই মার্চ বরিশালের একজন পেইন ম্যানেজমেন্টের ডক্টর এমআরআই ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলল টিবি হয়েছে এবং টিবির ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

তিন মাস ওষুধ খাওয়ার পরও কোনো উপকার না হওয়ায় আবার ঢাকাতে এসে একটা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হই। ডাক্তারের পরামর্শে ২০২২ সালের ২৪ জুলাই হাড়ে ফিক্সেশন (L3-L5) করা হয়। অপারেশনের সময় প্রস্রাবের রাস্তায় সমস্যা হয়েছে বলে ক্যাথেডিল পরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু অপারেশন করেও ব্যথা না কমায় থ্রিডি সিটিস্ক্যান করলে স্যাক্রামে ক্ষয় দেখা দেয়।

পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ভারতের ব্যাঙ্গালোরে মনিপাল হাসপাতাল যাই। সেখানে পিটিই সিটিস্ক্যান ও কিডনি বায়োপসি করে কিডনিতে ক্যানসার ধরা পড়ে। মেরুদণ্ডের হার ও স্যাক্রামে ১৮ সেন্টিমিটার টিউমারও হয়েছে বলা হয়। ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ২০২২ সালের ২৬ থেকে ৩১ সেপ্টেম্বর রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়। ইমিউনিউ থেরাপির আটটি সার্কেল (প্রতি সার্কেলের মূল্য চার লাখ টাকা) সম্পূর্ণ করা হলেও ক্যানসার কমেনি বরং কিছুটা বেড়ে যায়। একই বছরের অক্টোবর-নভেম্বর প্রথম চারটা থেরাপি এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরবর্তী চারটা থেরাপি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর পরিপাকতন্ত্রের ছিদ্রের অপারেশন করে পেটে কলোস্ট্রমি ব্যাগ লাগানো হয়। 

ওয়ালি আরও বলেন, ভারতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি টাকায় ৮০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। যদিও মনিপাল হাসপাতালের এই চিকিৎসায় তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। পরবর্তীতে ডাক্তার আরও ছয় মাসের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিলে ছয় মাসের ওষুধ নিয়ে আমরা বাংলাদেশে ফিরে আসি।

২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে পিটিই সিটিস্ক্যান করা হয় এবং রিপোর্টে ক্যানসার কমছে বলে দেখা যায়। হাড়ের অবস্থাও স্ট্যাবল দেখায়।

ক্যানসার আক্রান্ত ওয়ালি বলেন, আমরা দিল্লীতে ম্যাক্স ইন্সটিটিউট অব ক্যানসার কেয়ারে হাড়ের অপারেশন করতে চাচ্ছি। যার খরচ ২০ লাখ টাকারও বেশি। এমতাবস্থায়, ঢাবির সাবেক এই শিক্ষার্থী চিকিৎসা শেষ করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এই অপারেশন সফল হলে পরবর্তীতে কিডনি থেকে ক্যানসার রিমুভ ও কলোস্ট্রমি ব্যাগ ক্লোজ করার জন্য আরও একটি অপারেশন করতে হবে বলেও জানান ওয়ালি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন ওয়ালি। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানায়। ওয়ালির বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা, মা গৃহিণী।

ওয়ালিকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর:

Md Wali Ul Hasan

A/C: 0200016610036

অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, মাদারীপুর শাখা

বিকাশ পারসোনাল ও নগদ: 01912767032