হরতালে নিহত বিএনপিকর্মীর পরিবারকে আর্থিক অনুদান

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিহত বিএনপিকর্মীর পরিবারকে আর্থিক অনুদান তুলে দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হরতাল-অবরোধ চলাকালে পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসে শ্বাসরোধ হয়ে নিহত বিএনপিকর্মী আশিক মিয়ার পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম এই অনুদানের টাকা তাঁর পরিবারের হাতে পৌঁছে দেন।

এ সময় তিনি মো. শরীফুল আলমের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা দেন এবং প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাসহ যেকোনো বিষয়ে আর্থিক সহায়তা করার কথাও জানান তিনি।

এ সময় মো. শরীফুল আলম পরিবারের সদস্যদের বলেন, ঘটনার পরপর তিনিসহ ভৈরবের শীর্ষ নেতারা জেলে চলে যাওয়ায় তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি। দীর্ঘ কয়েক মাস পর জেল থেকে মুক্ত হয়েই তিনি তাদের কাছে ছুটে এসেছেন। এখন থেকে তিনি ও তাঁর দলের নেতাকর্মীরা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে যাবেন।

পরে জেলা বিএনপির সভাপতি উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি এবং ডামি’ মার্কা নির্বাচন করতে গিয়ে শেখ হাসিনা সরকার সারা দেশে বিএনপি, ‘অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। সেই নিহতদের রক্তে রঞ্জিত আজ হাসিনার হাত। আরও কত মানুষ হত্যা করলে তিনি তৃপ্ত হবেন, জানি না। তবে হত্যা, জেল-জুলুম, নির্যাতন, মামলা-হামলা করেও আমাদের প্রতিরোধ করতে পারবে না এই ফ্যাসিস্ট সরকার। যত দিন দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার এবং স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে না দেওয়া হবে, তত দিন আমাদের লড়াই-সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় মো. শরীফুল আলম নেতা-কর্মীদের অতীতের মতো আগামী দিনেও ঐক্যবদ্ধ থেকে লড়াই-সংগ্রামে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধ চলাকালে আওয়ামী লীগ-পুলিশ ও বিএনপির মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে শহরের কমলপুর গাছতলাঘাট মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসে আশিক মিয়া আহত হন। পরে তার স্বজনরা তাঁকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।