এখনও থমথমে থানচি, বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের ফাইল ছবি

বান্দরবানে রুমা শাখার ব্যাংক লুট, ব্যবস্থাপক অপহরণ ও থানায় হামলা, অস্ত্র লুটও গোলাগুলির ঘটনার পর পেরিয়েছে অনেক সময়। তারপরও স্বাভাবিক হতে পারেনি থানচি উপজেলা। সেখানের পরিস্থিতি থমথমে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ,  বন্ধ বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট। যদিও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর র‌্যাব বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চলছে যৌথ বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান। 

এদিকে, থানচির পর বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে থানচি-আলীকদম সড়কের ডিমপাহাড় এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে দেয় পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। চালায় তাণ্ডব। যদিও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে, এসব ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। 

বান্দরবানের সহকারী পুলিশ সুপার জুনায়েদ জাহেদী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তিন থানায় তদারকের জন্য একজন করে এএসপিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। থানচি থানায় অতিরিক্ত আরও ১০০ পুলিশ সদস্য যোগ দিচ্ছে।’

এদিকে উত্তপ্ত বান্দরবান পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আগামীকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) বান্দরবানের উদ্দেশে মন্ত্রীর রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে বলে এনটিভি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু। তারপরও এলাকাবাসীর মনে এখনও আতঙ্ক। থানচি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতের হামলায় পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গেছে এলাকার মানুষ। খুব প্রয়োজন ছাড়া দোকানে আসছেন না কেউ, আবার ব্যবসায়ীরাও প্রতিষ্ঠান খুলছেন না।

থানচি উপজেলা সদরের ইউপি চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘পুরো এলাকায় আতঙ্ক ভর করেছে। আগে কখনও কেএনএফ সদরে আসার সাহস করেনি। পরপর দুদিন হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দাবি করছি।’