বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তারা সংঘাত, সহিংসতা ও প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল আদর্শ গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয়তাবাদী সচেতন নাগরিক ফোরাম-নরসিংদী’র উদ্যোগে নরসিংদীর সাটির পাড়ায় আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন মঈন খান।  

ড. মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল এই দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। আমারা সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে একটি সমাজ ব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চাই, যেখানে ধনী-গরিবের ব্যবধান কমে আসবে, যেখানে মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘রমজানের শিক্ষা ধৈর্য এবং সংযম, এই দুই গুণাবলি বাংলাদেশের মানুষের মনে জাগরণ করে আমরা এই দেশকে পুনরায় অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল করে তুলব। মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে তুলব। একই সাথে এই দেশের মানুষ যাতে করে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে আমরা সেই পথে অগ্রসর হব।’

ড. মঈন খান আরও বলেন, ‘আমরা কোনো দ্বন্দ্বে বিশ্বাস করি না ।আমরা কোনো সংঘাত বা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করি না। নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে আমরা দেশের স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। ৯ মাসের স্বাধীনতা সংগ্রামে লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধা বুকের রক্ত দিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছিল। তাই আমরা চাই দেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ নতুন করে অগ্রসর হোক। বিশ্বের বুকে একটি সন্মানজনক জাতি হিসেবে বাংলাদেশেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে দেশকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

জাতীয়তাবাদী সচেতন নাগরিক ফোরাম-নরসিংদী এর সভাপতি বাবুল সরকারের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদিন, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহেন শাহ শানু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসান এবং যুবদল নেতা সরওয়ার মৃধাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।