কুকি-চিন সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী : রিজভী

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার যখন দেশের সীমান্ত রক্ষায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, এমন এক টালমাটাল পরিস্থিতিতে বান্দরবানে শুরু হয়েছে ব্যাংক লুট, পুলিশের অস্ত্র লুট, অপহরণ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা। কুকি-চিন সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবগত থাকলেও তাদের সম্পর্কে তেমন খোঁজখবর রাখেননি কিংবা রাখার প্রয়োজন মনে করেননি।

আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, “গত ৪ এপ্রিল বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। তার বক্তব্যটি একাধারে বেশ কৌতূহলোদ্দীপক এবং উদ্বেগজনকও বটে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কুকি-চিনের আস্তানা আমাদের র‌্যাব ও আর্মি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। তারা আমাদের সীমানা পার হয়ে ভিন্ন কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছিল এবং সেভাবেই তারা অবস্থান করছিল। এখন তারা কোত্থেকে আসছে, কীভাবে আসছে; মাঝে মাঝে তাদের প্রতিনিধি এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা বলছিল, তারা শান্তি চায়। অনেক কিছুই বলছিল’।”

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যে স্পষ্ট প্রমাণিত, কুকি-চিন সম্পর্কে তিনি অবগত থাকলেও তাদের সম্পর্কে তেমন খোঁজখবর রাখেননি কিংবা রাখার প্রয়োজন মনে করেননি। বরং অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় কোনো এক অজানা কারণে কুকি-চিনকে তোয়াজ করা হয়েছে। কেন কুকি-চিনকে এতো তোয়াজ করা হয়েছে এর পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে আসল রহস্য। দেশবাসী জানে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী পাহাড়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় বেড়ে উঠলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কুকি-চিনের পরিবর্তে পাহাড়ে তথাকথিত জঙ্গি ধরার নাটক করেছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, এই কুকি-চিনকে ব্যবহার করে নিজেদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে ক্ষমতালিপ্সু সরকার বর্তমানে দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপদে ফেলে দিয়েছে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘কুকি—চিন গত দুই-তিনদিন যেভাবে বান্দরবানে থানা, পুলিশ ফাঁড়ি এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে তাতে স্পষ্টই প্রমাণিত, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী সম্পর্কে দেশের গোয়েন্দারা ছিল বেখবর কিংবা তাদেরকে বেখবর করে রাখা হয়েছে। বান্দরবানের কুকি-চিনের চলমান ভয়াবহ হামলা শেখ হাসিনার বিনাভোটের সরকারের তাবেদারী পররাষ্ট্রনীতির কুফল ছাড়া আর কিছুই নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশপ্রেমিক জনগণ মনে করে, শেখ হাসিনার তাবেদার সরকারের কারণেই কুকি-চীন বর্তমানে দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। বান্দরবানের ভয়াবহ ঘটনাকে কোনো বিচ্ছিন্ন কিংবা একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করলে ভবিষ্যতে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে দেখা দিতে পারে।’