চাঁদপুরে ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ

Looks like you've blocked notifications!
চাঁদপুর জেলায় আট উপজেলায় এবার ৬৩ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ছবি : এনটিভি

চাঁদপুর জেলার আট উপজেলায় এ বছর ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। একাধিকবার বৃষ্টি হওয়ায় সেচের কোনো ধরনের সংকট দেখা দেয়নি। বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকলেও স্কিম ম্যানেজারদের পক্ষ থেকে পর্যন্ত কোনো ধরনের অভিযোগ আসেনি।

আজ সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বাগাদী, বালিয়া, লক্ষ্মীপুর ও চান্দ্রা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠগুলো ঘুরে দেখা গেছে বোরে ধানের জমির প্রত্যেকটিতে পানি আছে। ধানের রং খুবই ভালো। সেচ প্রকল্পের ধান এখানও কাঁচা এবং বাইরের জমিতে পাকতে শুরু করেছে।

সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকার কৃষক শাহাজাহান মিয়া বলেন, লোডশেডিং হয়েছে ঠিক। কিন্তু আমাদের জমিতে পানি আছে। এই সময়ে জমিতে পানি কম থাকলেও চলবে।

বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামের কৃষক সোলাইমান খান বলেন, লোডশেডিং ও গরম পড়েছে কয়েকদিন। তবে বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানির সংকট দেখা দেয়নি। অনেকের জমির ধান পাকতে শুরু করেছে।

একই ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং সেচ প্রকল্পের বাইরের নিজ গাছতলা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, সেচ প্রকল্পের বাইরে নদীর তীরবর্তী জমিগুলোর ধান এক সপ্তাহের মধ্যে কাটা শুরু হবে। এই সময় জমিতে পানি না থাকলে ভালো হয়। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি কিংবা প্রভাব পড়েনি।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, জেলার আট উপজেলায় ৬৩ হাজার ৪৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং হয়েছে, কিন্তু সেচের ওপর এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি। জেলার বড় দুটি সেচ প্রকল্প ছাড়াও বাইরের স্কিম ম্যানেজারদের মধ্যে কেউ বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে অভিযোগ করেননি। যদি এমন কিছু থাকত, তাহলে তারা আমাদের কাছে অভিযোগ করতেন। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলতাম। মূলত একাধিকবার বৃষ্টির কারণে সেচের সমস্যা আপাতত নেই।