বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় দুই পরিবহণ শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় মামলা

Looks like you've blocked notifications!
নিহত পরিবহণ শ্রমিকদেড় মরদেহ নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছেন স্বজনরা। ছবি : এনটিভি

সাভারে বাড়তি ভাড়া চাওয়ায় পিটিয়ে দুই পরিবহণ শ্রমিককে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে আশুলিয়া মডেল থানায় মামলাটি করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের মোজারমিল এলাকায় চন্দ্রাগামী ইতিহাস পরিবহণের বাসের চালক ও হেলপারের সঙ্গে যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত যাত্রীরা বাসের চালক ও হেলপারকে মারধর করে। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে চালকের আরেক সহকারী বেঁচে যান। পরে পথচারীরা চালক ও হেলপারকে উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তাদের মৃত্যু হয়। পরে কাশিমপুর থানার পুলিশ মরদেহগুলো সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতরা হলেন—গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে সাভার হয়ে মিরপুর ১৪ রুটে চলাচলকারী ইতিহাস পরিবহণের চালক গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার সোহেল রানা (২৬) ও চালকের সহকারী ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকার হৃদয় (৩০)। বাসচালক সোহেল মিরপুরের ফুরকান হোসেনের ছেলে এবং হেলপার হৃদয় ময়মনসিংহ ফুলপুর এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন পরিবহণ শ্রমিকরা। জড়িতদের কেউ গ্রেপ্তার না হলে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

নিহত হৃদয়ের বড় ভাই আতিকুর রহমান বলেন, ‘মাত্র ২০ টাকার জন্য আমার ভাইরে মাইরা ফালাইল। প্রাণে রক্ষা পাওয়া সহকারীর কাছ থেকে জানতে পারি, ভাড়া বেশি চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক যাত্রীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সহকারী হৃদয়কে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় এক যাত্রী। বাসটি মোজারমিল এলাকায় পৌঁছালে ২০ থেকে ৩০ জন যুবক ওঠে। কিছুদূর গিয়ে যানজটে আটকা পড়লে তারা হৃদয়কে বাস থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে পেছনে নিয়ে ইট দিয়ে বুকে আঘাত করে। চালক এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে। এ সময় বাসচালকের অপর সহকারী আব্দুর রহমান দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেন।’

আশুলিয়া থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’