দুই শিশু সন্তানসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে পূর্ব লাড়ুয়া গ্রামে স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন মা ফাতেমা আক্তার সীমা। ছবি : এনটিভি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে পূর্ব লাড়ুয়া গ্রামে স্বামীর পরকীয়া সন্দেহে আরিফা (৪) ও আরিয়া (২) নামে দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন মা ফাতেমা আক্তার সীমা (২৫)। আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে ওই গ্রামের রাঢ়ীবাড়ি থেকে মা ও দুই শিশুর মরদদেহ উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে দুপুরে তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।

ওসি বলেন, প্রবাসফেরত স্বামী আরিফের ঘরে এসে আমরা তাঁর স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি। ঘটনাটি  রহস্যজনক বলে মনে হয়। কারণ তাঁদের আর্থিক অবস্থা সচ্ছল। দরিদ্র পরিবার মনে হয়নি। তাঁদের মধ্যে বন্ধন সুদৃঢ়। তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, স্ত্রী আরিফ পরকীয়া জড়িত বলে সন্দেহ করতেন।

ওসি আরও বলেন,  ‘আমাদের ধারণা পরকীয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সীমার স্বামী আরিফকে আটক করা হয়েছে।’

নিহত সীমার বাবা পাশের হাইমচর উপজেলার আলগী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কোতোয়াল জানান, সামাজিকভাবে ছয় বছর আগে আরিফের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আরিফ কর্মসংস্থানের জন্য দুবাই চলে যান। এক মাস আগে বাড়িতে এসেছেন। তাঁর মেয়ের সঙ্গে কোনো বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ ছিল কি না, এমন কথা মেয়ে কখনও জানাননি। সামাজিকভাবেই চার লাখ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে হয়।

এ বিষয়ে জানতে আরিফে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কেউই কথা বলতে রাজি হননি।

এদিকে এই ঘটনার পরপর ফরিদগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শক (তদন্ত), সেকেন্ড অফিসারসহ অন্য কর্মকর্তাদের সামনেই নিহত সীমা ও আরিফের স্বজনদের মধ্যে লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা  ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।