ঈদের দিনে রাজধানীতে জমজমাট বিনোদনকেন্দ্র
রাজধানীতে ঈদ মানে নামাজ শেষে ঘুরোঘুরি, কিছু স্বজনের সাথে দেখা করার পর পার্ক, চিড়িয়াখানা ও জাদুঘরে শিশুদের আনন্দ দেওয়া। দুপুরের পর রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। সকাল থেকেই ছোট-বড় সকলের উপস্থিতিতে ঈদের আনন্দ যেন পূর্ণতা পেয়েছে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। সরেজমিনে বিনোদনকেন্দ্রগুলো এমন চিত্র দেখা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিমানবাহিনী জাদুঘর, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ কেল্লা জাদুঘর, হাতিরঝিল, মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানা, শ্যামলীর শিশুমেলা, ধানমণ্ডি লেক, সংসদ ভবন চত্বর, চন্দ্রিমা উদ্যানে বিনোদন কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি দর্শনার্থী ছিল চোখে পড়ার মতো। এ ছাড়া কুড়িল ফ্লাইওভার, ৩০০ ফিট রাস্তা, জিয়া কলোনি, উত্তরা দিয়াবাড়ি বিনোদনের অংশ হিসেবে পরিণত হয়েছে।
হাতিরঝিলের ভ্রাম্যমাণ দোকানি রাজন বলেন, ‘রোজায় তো লোকজন এদিকে তেমন আসে না, সবাই থাকে মার্কেটে। ঈদের কয়েকদিন অনেক লোক থাকে, বেচাকেনা ভালো হয়। তাই বাড়ি যাই নাই। দুই-তিন দিন ভাল বেচাকেনা করতে পারলে হাতে কিছু টাকা নিয়া বাড়ি যামু। এইডাই আমগো ঈদ।’
আগারগাঁওস্থ বিমানবাহিনী জাদুঘরে বাবার সাথে ঘুরতে আসা শিশু আনিসা তাহসিন জাহিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমরা গ্রামে যেতে পারিনি। তাই আব্বুর সাথে ঘুরতে এসেছি। ঈদ তো আনন্দের। সারাদিন ঘুরবো। অনেক মজা হবে। ঈদের দিন না ঘুরলে আর কবে ঘুরবো। এখন রাস্তাঘাট পুরাটাই ফাঁকা। তাই ঘুরতে অন্যরকম মজা।
সাথে থাকা শিশু সাবিত আল হাসনাইন জারিফ বলেন, ‘আমি হেলিকপ্টারে উঠেছি, বিমানে উঠেছি, ট্রেনে উঠে অনেক মজা লাগছে। সারাদিন ঘুরবো মজা করবো।' রাজধানীর অন্যতম দর্শনীয় স্থান জাতীয় চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হরিণ, ময়ূর, বানর, সাপ, নানারকম পাখি ও জলহস্তীসহ বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তু দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মিরপুর-১৪ থেকে পরিবার নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন আব্দুল বাসেদ। তিনি বলেন, চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখে খুব ভালো লাগছে। তবে, চিড়িয়াখানার এরিয়া অনেক বড় হওয়ায় সবটুকু ঘুরে দেখা সম্ভব হচ্ছে না। পা ব্যথা করছে। প্রচণ্ড রোদ-গরমে শিশু বাচ্চাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই যতটুকু সম্ভব ঘুরে দেখালাম। চিড়িয়াখানার পরিবেশটা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে।
মিরপুরের বাসিন্দা সাকিব হোসাইন নামে এক শিশু জানান, আব্বু আম্মুর সাথে বেড়াতে এসেছি। পার্কে গিয়ে রাইডে উঠেছি। অনেক পশু-পাখি দেখেছি। খুব ভালো লেগেছে ।
এদিকে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটের সামনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও আজকে বন্ধ থাকায় মানুষ এসে ফেরত যাচ্ছে। অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে দেখা গেছে অনেক দর্শনার্থী। এছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক জুড়েও ছিল সব বয়সী মানুষের বাড়তি আনাগোনা। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী ও বয়স্ক সবাই যেনো বিনোদনের খোঁজে বেরিয়ে পড়েছেন।