আগামীকাল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

Looks like you've blocked notifications!
মুজিবনগরে বিভিন্ন ম্যুরাল ও স্থাপনায় রং করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ছবি : ইউএনবি

আগামীকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন ম্যুরাল ধোয়ামোছাসহ বিভিন্ন জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও রঙয়ের কাজ শেষ হয়েছে।

মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মন্ত্রীসহ আগতদের বরণ করতে আমরা বড় ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, বিভিন্ন ম্যুরাল ও স্থাপনায় রং করাসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি ও পর্যাপ্ত অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

মেহেরপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম নাজমুল হক বলেছেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জেলার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ সামগ্রিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মুজিবনগরের মূল মঞ্চের বিভিন্ন স্থলে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে।

এসপি আরও বলেন, ‘আগতদের তৎক্ষণিক নিরাপত্তা দেবার জন্য পুলিশ কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যাতে সবাই আনন্দের সঙ্গে পালন করতে পারেন সেই লক্ষে আমরা কাজ করছি। ৪ স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হবে সমাবেশস্থল।’

জেলা আওয়ামী লীগ থেকেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করার জন্য আমরা প্রস্তুত। গত কয়েক বছর করোনা মহামারি ও রমজানের কারণে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিসরে দিবস পালন করেছিলাম। কিন্তু এবার অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’

মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। প্রধান অতিথি থাকবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি থাকবেন প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ডাক্তার সৈয়দা জাকিয়া নুর (লিপি)।

এছাড়া উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও আফজাল হোসেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটির স্মরণে স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে নানা কর্মসূচি।

পতাকা উত্তোলন শেষে শেখ হাসিনা মঞ্চে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন আওয়মী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা, মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। ১৯৭১ সালের এই দিনে (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার তৎকালীন বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে।