ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন : শাশুড়ি ও স্ত্রীর পর লিটনের মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাস থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ শাশুড়ি ও স্ত্রীর মৃত্যুর পর লিটনও মারা গেলেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৬টার দিকে মো. লিটন (৫২) মারা যান। তার শরীরের ৬৭ ভাগ দগ্ধ হয়েছিল।  

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম এ খবর জানিয়ে বলেন, এ নিয়ে ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার লিটনের শাশুড়ি মেহেরুন্নেসা ও সোমবার তার স্ত্রী সূর্য বানু মারা যান। 

চিকিৎসক তরিকুল আরও জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সূর্য বানু-লিটন দম্পতির তিন সন্তান লিজা (১৮), সুজন (৯) ও লামিয়ার (৭) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। 

ভাসানটেকের শ্যামলপল্লীতে গত শুক্রবার ভোরের দিকে দোতলা বাসার নিচতলায় এই আগুনের ঘটনায় তারা দগ্ধ হন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের পাইপে লিকেজ থাকার কারণে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে গেলে তারা দগ্ধ হন। 

ভাসানটেক থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাঈমুল ইসলাম হৃদয় জানিয়েছিলেন, তাদের গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে থাকলেও ঘরে চুলার সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত ছিল। বাসার দরজাটি লোহার। গ্যাসের পাইপটি লোহার দরজার ফোকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করছি, লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় গ্যাস ঘরে জমা হয়। ভোরে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়।