গোপালগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপতালের মর্গ। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে নিখোঁজের তিন দিন পর পুকুর থেকে সুব্রত বাড়ৈ (১৮) নামে এক কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের কলিগ্রামের একটি পুকুর থেকে কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সুব্রত বাড়ৈ পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের রাধা বল্লভ বাড়ৈর ছেলে। তিনি মামাবাড়ি কলিগ্রামের গৌরাঙ্গলাল বালার বাড়িতে থেকে কলিগ্রাম বঙ্গরত্ন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন।

মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক শওকত হোসেন জানান, গত ১৫ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে সুব্রতকে মামাবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওই গ্রামের জয় বালা ও অপূর্ব বালা নামের দুই যুবক। এরপর আর সন্ধান পাওয়া যায়নি তার। আজ বুধবার সকালে স্থানীয়রা কলিগ্রামের খ্রিস্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান চার্জ অব বাংলাদেশের পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সুব্রতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে সুব্রতকে ডেকে নিয়ে যাওয়া জয় বালা ও অপূর্ব বালাকে আজ বুধবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তারা জানায়, ওদিন রাতে (১৫ এপ্রিল) তিনজন মিলে কলিগ্রামের অপূর্ব বালার বাড়ির পশ্চিম পাশে আকিজ বৈদ্যের বালুর মাঠে বসে স্প্রাইটের সঙ্গে ঘুমের ওষুধসহ বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ককটেল (নেশাদ্রব্য) তৈরি করে তা পান করে। গভীর রাতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে ফেরার পথে সুব্রত পুকুরের মধ্যে পড়ে যায়। এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় নিহত সুব্রতের বাবা রাধা বল্লভ বাড়ৈ অভিযোগ করেছেন। মামলা দায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।