আর কিছুদিন সময় পেলে পুরো গোপালগঞ্জই কিনে ফেলতেন বেনজীর
বহুল আলোচিত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তদন্তের আবেদন করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ রোববার (২১ এপ্রিল) দুনীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে এসে এ আবেদন জমা দিয়ে ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আইজিপি পদে থেকে বেনজীর আহমেদ হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ করেছেন। তিনি (বেনজীর) ৩৪ বছর চাকরি করে এক হাজার ৪০০ বিঘা জমি কিনেছেন শুধু গোপালগঞ্জেই। আরও কিছুদিন সময় পেলে তিনি গোপালগঞ্জ কিনে ফেলতেন। তখন আমাদের হয়তো বেনজীর আহমেদের জমির ওপর দিয়েই জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মাজারে যেতে হতো।’
দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে হাইকোর্টে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমন জানান, ‘আমাদের সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে উনি বেশিদিন সময় পাননি। উনি যে সম্পদ বানাইছেন, আর কিছুদিন হলে হয়তো উনার জমির ওপর দিয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধুর মাজারে যাওয়া লাগতো।’
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিবরণ তুলে ধরে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বেনজীরের স্ত্রী ও দুই মেয়ে। দুই লাখ শেয়ার কিনেছেন। রিসোর্টের জন্য এলজিআরডি ৭ কিলোমিটার রাস্তা করে দিয়েছে। বেনজীর আহমেদের সম্পদের ফিরিস্তি পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জানলাম। জানার পর আমার কাছে মনে হয়েছে এটা বিরাট একটা অশনিসংকেত। যে রিপোর্ট পত্রিকায় আসছে, অনেক ভালো এভিডেন্স ছাড়া নিশ্চয়ই এটা করার কথা না।’
এ বিষয়ে সংসদে কথা বলবেন কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সংসদ তো বিচারের জায়গা না, তদন্তেরও জায়গা না। আইন প্রণয়নের জায়গা হচ্ছে সংসদ। তাও আমি সুযোগ পেলে সংসদে বলব। কেন এটা তদন্ত হচ্ছে না সেটা দুদককেই বলতে হবে। একজন আইজিপির বিরুদ্ধে যদি এত সম্পদের অভিযোগ থাকে, তাহলে দেশে অনেক সৎ পুলিশ অফিসার আছে, তাদের সততা টিকিয়ে রাখাই তো মুশকিল হবে।
আইজিপির সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে সুমন বলেন, কোন অপরাধী কী আজ পর্যন্ত তার অপরাধ স্বীকার করেছে? উনি কী বলেছেন সেটা আমার বিষয় না। তাঁর বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ যেহেতু উঠেছে, দুদক তদন্ত করে দেখুক অভিযোগের সত্যতা আছে কী না।