হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চেকপোস্ট দিয়ে শুধু মেডিকেল ভিসাধারী যাত্রীরা ভারতে যেতে পারছেন। অন্য সব ভিসাধারী যাত্রী পারাপার হতে পারছেন না। আজ ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন একপত্রের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, গত ১৯ এপ্রিল থেকে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে ভারতের ব্যবসায়ীরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে আগামী ২৬ এপ্রিল শুক্রবার পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেয়। বিষয়টি তারা আমাদের পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন। এরফলে আজ সকাল থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শুধু আজ পচনশীল কয়েকটি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে থেকে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভোট হবে। ফলে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে পাসপোর্টযাত্রী চলাচলে কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। আজ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন বাংলাদেশে অবস্থানকারী ভারতীয়রা নিজ দেশে ফিরতে পারবেন এবং বাংলাদেশ থেকে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিতে পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যেতে পারবেন।
ওসি আরও জানান, এই তিন দিন টুরিস্টসহ অন্য পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন না। আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে আগের মতো পাসপোর্টযাত্রীরা পারাপার হতে পারবেন।
এদিকে ভারতের হিলি ইমিগ্রেশন চেপোস্টের ইনচার্জ দিলীপ সরকার জানান, ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাসহ কয়েকটি জেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হরে। এ কারণে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে তিন দিনের জন্য পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার সাময়িক বন্ধ থাকবে। তবে শুধু মেডিকেল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশি যাত্রীরা এবং বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় পাসপোর্টযাত্রী ভারতে আসতে পারবেন। অন্য ভিসায় কোনো পাসপোর্টযাত্রী আসতে পারবেন না। এই সংক্রান্ত একটি পত্র আজ বুধবার আমাদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন থেকে পেয়েছি।