যাত্রাবাড়ি বৃষ্টি নামলেও পৌঁছায়নি কারওয়ান বাজার
রাজধানীতে অল্প সময়ের জন্য নামে এক পশলা বৃষ্টি। যদিও সব স্থানে হয়নি। যাত্রাবাড়ি, শনিরআখড়া, সূত্রাপুর, পোস্তগোলা ও তার আশপাশ থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নামে এই বৃষ্টি। এতে এসব এলাকার মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি আসে। যদিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাই গরম খুব একটা কমেনি। যদিও আজিমপুর, কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, ধানমন্ডি, উত্তরা, মহাখালি, গাবতলির এলাকার মানুষ প্রত্যাশিত বৃষ্টির ছোঁয়া পায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এই বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি হয় পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জেও। এতে জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি নেমে আসে।
শনিরা আখড়ায় বসবাস করেন গৃহিনী তাসনিয়া ফেরদৌস। বৃষ্টিতে সামান্য হলেও স্বস্তি নেমেছে বলে জানান তিনি। এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনুভূতিটা অন্যরকম। যদি বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে গরম কমবে।’
সূত্রাপুর থেকে শিক্ষার্থী পূর্ণিমা রাউৎ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। অনেক দিন পর হঠাৎ বৃষ্টিতে যে অনুভূতি, তা বোঝানো কঠিন। আমি এখন ভিজব। পরে কথা হবে।’
পোস্তগোলা এলাকার রোকসানা খাতুন নামে শিক্ষার্থী জানান, অভূতপূর্ব। যা চাচ্ছিলাম, ঠিক তাই। কলিজা ঠান্ডা হয়ে গেল।
যাত্রাবাড়ির কিশোর মিনার ইশরাক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, খুব বেশি হয়নি। ভিজব বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু বেশিক্ষণ না হওয়ায় তা আর হলো না। হলে খুব মজা হতো।
যদিও ধানমন্ডি থেকে ওমর ফারুক জানান, সেখানে বৃষ্টি হয়নি। শনির আখড়া ও তার আশপাশে বৃষ্টির খবরে তারাও প্রত্যাশা করছিলেন বৃষ্টির।
শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে আবু বকর বিপ্লব জানান, ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়নি। গাবতলী, উত্তরাতেও বৃষ্টি হয়নি বলে জানা গেছে।
আজিমপুর ডুরে আঙ্গুল লেনের আব্দুল জলিল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ছিটেফোটো পড়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি বলতে যা, তা হয়নি। ভেবেছিলাম, নামবে, তা আর হলো না।
বাড্ডা হোসেন মার্কেট এলাকা থেকে মিথিলা তারান্নুম জানান, রাজধানীতে হঠাৎ বৃষ্টির খবরে ভালো লেগেছিল। অপেক্ষায় ছিলাম, আমাদের এলাকায়ও বৃষ্টি যদি নামে। কিন্তু তা আর হলো না।
কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, জীবন। তিনি বলেন, নাহ! বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে লাভ হলো না। যাত্রাবাড়িতে বৃষ্টি এলেও নামল না কারওয়ান বাজারে।
এদিকে, মে মাসেও তাপপ্রবাহের ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। যদিও তাপপ্রবাহের পাশাপাশি বজ্র ও শিলাবৃষ্টির সঙ্গে তীব্র কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেয় তারা। সেখানে ঘূর্ণিঝড়েরও আশঙ্কা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত একমাস মেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, মে মাস জুড়ে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে, এ মাসে দেশে তিন থেকে পাঁচ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা ধরনের কালবৈশাখী ঝড় এবং দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে।
আর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এর আগে রোববার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ান হয়।