চিরনিদ্রায় সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলী
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (৪ মে) আসরের নামাজের পর বনানী করবস্থানে বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে জোহরের নামাজের পর ধানমণ্ডির তাকওয়া মসজিদে প্রথম জানাজা এবং আসরের নামাজের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২ মে) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ পৌঁছে।
সাবেক এটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শোক প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম এইচ খন্দকার। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল। এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তিনি দেশের দ্বাদশ অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তিনি ২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী।