বৈষম্যমূলক সর্বজনীন পেনশনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলেই মেধাবীরা এখন শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ হারাচ্ছেন, বিদেশে চলে যাচ্ছেন। ফলে দেশ থেকে মেধার পাচার হচ্ছে।
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি।
বক্তারা বলেন, শুধু আমলাদের খুশি করতে এমন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তব্য দেন সিনিয়র শিক্ষক ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, ড. মো. আশরাফ উদ্দীন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম ও এফইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিমেষ সরকার।
শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা জানি সর্বজনীন হচ্ছে সবার জন্য কিন্তু এই প্রজ্ঞাপনটি সবার জন্য নয়। শুধু একটি শ্রেণিকে খুশি করতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অবিলম্বে এই বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন বাতিল করে শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি জানাচ্ছি।’
আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যহত রাখব। তারই অংশ হিসেবে আগামী ১৩ মে কালো ব্যাজ ধারণ ও মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
গত ১৩ মার্চ (বুধবার) ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সকল স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং উহাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে যে সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারী, তাহারা যে নামেই অভিহিত হউন না কেন, ১ জুলাই, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ ও তৎপরবর্তী সময়ে নূতন যোগদান করিবেন, তাহাদেরকে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করিল।'