সাতসকালে রাজধানীতে নামল ঝুম বৃষ্টি
রাজধানীতে সাতসকালে নেমে আসে রাতের আঁধার, কালো মেঘে ছেয়ে যায় পুরো আকাশ। আর প্রবল বেগে বইতে শুরু করে ঝোড়ো হওয়া, তার মাঝেই আকাশের বুক চিরে নেমে আসে বারিধারা। আজ শনিবার (১১ মে) সকাল সোয়া ৭টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, আগারগাঁও, ফার্মগেট, হাতিরঝিল, মিরপুর, গুলিস্তান ও নিউমার্কেট এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দেশের ছয় বিভাগের বহু জায়গায় এবং দুই বিভাগের কিছু কিছু এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন নদীবন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানান, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।
গতকাল শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস মোংলায় এবং ঢাকায় সর্বোচ্চ ছিল ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশে সর্বোচ্চ ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।