নিখোঁজ রহিমা বেগমের আত্মগোপনের মিথ্যা মামলায় পাঁচ আসামির অব্যাহতি
বহুল আলোচিত নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ সেই রহিমা বেগমের অপহরণ হওয়ার মিথ্যা মামলাটি অবশেষে শেষ হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) নারী ও শিশু অপরাধ ট্রাইবুনালের জজ জামিরুল হায়দার সিআইডির দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে পাঁচ আসামিকেই মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তারা মাহমুদ।
মিথ্যা মামলা দিয়ে অযথা হয়রানি করার জন্য বাদী ও কথিত ভুক্তভোগীসহ তার মেয়েদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অভিমত দিয়েছে পিবিআই ও সিআইডি তদন্তের রিপোর্টে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, দৌলতপুরের খানাবাড়ী থেকে নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় গত ২৭ আগস্ট ২০২২ রাত ১১টার দিকে নিখোঁজ হন ছয় সন্তানের মা রহিমা বেগম। ওই রাতে তার মৃত প্রথম স্বামীর বাড়িতে দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদারকে নিয়ে ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ছেলে সাদি বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরদিন রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে আদুরী আক্তার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেসহ একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে জমিজমা নিয়ে বিরোধে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেন। নিখোঁজের ২৯ দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর খুলনা মেট্রপলিটন পুলিশ নিখোঁজ রহিমা বেগমকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর এলাকার কুদ্দুসের বাড়ি থেকে জীবিত উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, প্রথম থেকেই মামলাটি দৌলতপুর থানা ও র্যাব তদন্ত করছিল। পরে পিবিআই ও সিআইডি তদন্ত করে। সিআইডি ও পিবিআই উভয় মামলার ঘটনাটি সত্য নয় বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া মহিউদ্দিন জানান, মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তারা। মামলার রায়ে উল্লেখিত বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করবেন।
এ বিষয়ে রহিমা বেগমের মেয়ে আদুরী বেগম জানান, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তারা।