চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়ার একটি অন্তরঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে এখন তোলপাড় চলছে।
এদিকে ভিডিওটি সুপার এডিট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এটি ছড়িয়েছে বলে দাবি মনির হোসেনের। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান ঘটনাটিকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে এ রকম ঘটনা সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর বলেছেন।
তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে গৌরনদী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এখানে চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও বর্তমানে ভোটের মাঠে আছেন দুজন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে মাঠে থাকা হারিছুর রহমানের বিরুদ্ধে লড়ছেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের মনির হোসেন।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মনিরুন নাহার মেরী সমর্থন দিয়েছেন মনিরকে। নির্বাচনকেন্দ্রিক প্রচার-প্রচারণা যখন তুঙ্গে ঠিক সেই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মনিরের এই আপত্তিকর ভিডিও। যেখানে তাকে এক নারীর সঙ্গে দেখা যায় খুব ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে। একটি ঘরের ভেতর মনির হোসেন এবং ওই নারী একান্তে মিলিত হওয়ার পর পকেট থেকে টাকা বের করে তাকে দিচ্ছেন তিনি। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গৌরনদীতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভোটারদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। মনির হোসেনের ঘনিষ্ঠ একাধিকজন বলেন, মূলত নির্বাচনি মাঠে বিপাকে ফেলতেই এ রকম একটি সময়ে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভিডিওতে যে নারীকে দেখা গেছে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভিডিওটি সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হারিছুর রহমান তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তা ছাড়া ভিডিওটি সুপার এডিট করা। এ রকম কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি এই ঘটনায় সাইবার আদালতে মামলা করব।’
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হারিছুর রহমান বলেন, ‘ভিডিওটি আমি দেখিনি। তবে এ রকম কিছু হয়ে থাকলে তা অবশ্যই দুঃখজনক। এটা দলের জন্যও ক্ষতিকর। নির্বাচন বা ভোটযুদ্ধে লড়াইটা ভোটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। কোনো নোংরামি না থাকাই ভালো।’