দুর্নীতির দায়ে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়টি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক (ইনস্টিটিউশনাল) বিষয় নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতেই বলা হয়েছে, দুর্নীতির দায়ে তাঁকে (আজিজ আহমেদ) ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এটার দায় তার ব্যক্তিগত। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো বিষয় জড়িত নয়।
আজ বুধবার (২২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নওয়াব আলী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অপর একটি অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি যেটি ঘোষণা করেছিল, সেটি থ্রি সি ভিসা পলিসি ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের আওতায়। আর জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে যে ভিসা রেসট্রিকশন দেওয়া হয়েছে, সেটি ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন অ্যাক্টের অধীনে। যে ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল সেটির অধীনে তাকে ভিসা রেসট্রিকশন দেওয়া হয়নি। অন্য অ্যাক্টের অধীনে তাকে ভিসা রেসট্রিকশন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আপনারা দেখেছেন, আওয়ামী লীগের অনেক সংসদ সদস্য দুর্নীতির দায়ে জেলে গেছে। সরকারি দলের অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্নীতি মোকাবিলা এবং আরও অন্যান্য বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি,’ বলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিবৃতি দেয়। দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নিয়েছে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।