সড়কের ৪৪.৬৫ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা : যাত্রী কল্যাণ সমিতি
গত এপ্রিল মাসে ৬৮৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৭০৮ জনের। এর মধ্যে ৩০৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। যা সড়কে মোট দুর্ঘটনার ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ বুধবার (২২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। মাসটিতে ৩০৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২৭৪ জনের প্রাণ হারিয়েছে। আর আহত হয়েছেন ৩২৮ জন। এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে ১৫৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৭৯ জনের। আহত হয়েছেন ৩০৫ জন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশালে। ৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫৩ জনের। আহত হয়েছেন ৪৮ জন। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪৯ জন শিশু এবং ১২৩ জন বিভিন্ন পরিবহণের চালক।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এপ্রিলে সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৭৩৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬৩ জন নিহত এবং ২ হাজার ৪৭২ জন আহত হয়েছে। রেলপথে ৪৪টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত, ৩৬ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ৬টি দুর্ঘটনায় ৮ জন নিহত, ১০ জন আহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
দুর্ঘটনা রোধে জরুরিভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করাসহ ১০টি সুপারিশ করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বাকি সুপারিশগুলো হলো- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহণ আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নত মানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহণ ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।