চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে প্রস্তুত ১১০ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় রিমালের ঝুঁকি এড়াতে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিস। ঝুঁকি কমাত কন্ট্রোল রুম ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এদিকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত প্রচার করা হলেও স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হতে দেখা যায়নি।
আজ রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিস সূত্রে জানা যায়, পুকুরিয়া, খানখানাবাদ, বাহারছড়া, কাথারিয়া, সরল, শীলকূপ, গণ্ডামারা, শেখেরখীল, পুঁইছড়ি, ছনুয়া ইউনিয়নকে উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ১০টি ইউনিয়নে ৭১টি ইউনিটে এক হাজার ৪২০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। সিপিপির সেচ্ছাসেবক যেকোনো আহুত পরিস্থিতির ঝুঁকি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছেন। স্থানীয় লোকজনকে সতর্ক করতে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং অব্যাহত রাখা হয়েছে এবং ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।
বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি অফিসের রেডিও অপারেটর মিঠু কুমার দাশ বলেন, ‘ইতোমধ্যে উপজেলার সচল ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ভবনগুলোও আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক টিম সার্বক্ষণিক দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় তৎপর রয়েছে।’
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আযাদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রস্তুতি ও পরিস্থিতিতে ঝুঁকি এড়াতে আমার টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) টিম লিডার মো. ছগির বলেন, ‘উপকূলীয় ১০টি ইউনিয়নে ৭১টি ইউনিটে এক হাজার ৪২০ স্বেচ্ছাসেবক সার্বক্ষণিক প্রচার ও সতর্কতা সংকেট জানিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমাদের সিগন্যাল পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে জনসচেতনতায় ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের পূর্ব প্রস্তুতির জন্য উপজেলায় জরুরি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের ঝুঁকি এড়াতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া শনিবার সন্ধ্যা থেকে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক খবরাখবর রাখছি।’