ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পাহাড় ধসের শঙ্কা, বসতি ছাড়তে মাইকিং
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি ও থেমে থেমে বৃষ্টিতে পিচ্ছিল বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে পাহাড়ের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো। এদিকে বৃষ্টিতে পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
আজ রোববার (২৬ মে) বিকেলের পর থেকে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসও হচ্ছিল জেলায়।
প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শনিবার থেকেই জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলার সাতটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ২০৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এদিকে কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনও মুসলধারে বৃষ্টি হওয়ায় রুমা, থানচি, সদর, লামা, সুয়ালক, রোয়াংছড়ি-রুমা, থানচি-আলীকদমসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো কাদা-মাটিতে পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
পরিবহণ শ্রমিক অমল দাস, কামাল উদ্দিন বলেন, দুদিনের বৃষ্টিতে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রুমা ও থানচি সড়কে সংস্কারকাজ চলমান থাকায় বৃষ্টিতে কাদা মাটিতে সড়কটি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন চলাচলে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বান্দরবান মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই মূলত বৃষ্টি হচ্ছে জেলায়। ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় সবাইকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. সামসুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডেই ঝুঁকিপূর্ণ বস্তিগুলো ছেড়ে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে মাইকিং করা হচ্ছে। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রও।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জেলায় দুদিন ধরেই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে।