জোয়ারে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, আশ্রয়কেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রোববার (২৬ মে) দুপুরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সদর উপজেলার কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, মহেশখালী উপজেলার সিকদারপাড়াসহ জেলার ১০টি গ্রামে সাগরের জোয়ারের পানি ঢুকেছে। এসব এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। এতে গ্রামীণ সড়ক ও বাড়িঘর প্লাবিত হয়। রাতে উপকূল এলাকায় পাঁচ থেকে ছয় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাসের আশংকার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস।
জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, পৌরসভা মহেশখালী পেকুয়া ও কুতুবদিয়ার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের কিছু কিছু এলাকায় বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছে।
সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। সৈকতে জেলা প্রশাসনের নিয়োজিত বিচকর্মী, ফায়ার সার্ভিস ও লাইফ গার্ড কর্মীরা পর্যটকদের জন্য সতর্কতামূলক মাইকিং করছে। সৈকতে পর্যটকদের গোসল করতে নিষেধ করা হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে আজ সকাল থেকে সব ধরনের বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গাছ ভেঙে পড়ায় এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরসহ উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছে। ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন। এ জন্য জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি সভা করেছে।
গতকাল শনিবার রাত থেকে জেলায় বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ দিনভর জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও উপকূল এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে। সাগরে মাছ ধরার ট্রলারকে উপকূলে নিরাপদে চলে আসতে বলা হয়েছে।