ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না : রিজভী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, দেশে যখন মানুষের ভোটাধিকার থাকে না, মানুষের কথা বলার অধিকার থাকে না এমন সময়ে সাংবাদিকদের ভয়ের মধ্যে কাজ করতে হয়। আর বর্তমানে দেশে সে অবস্থা বিরাজমান। সরকার ও সংবাদপত্রের মালিকদের চাপে স্বাধীন সাংবাদিকতা এখন আর বাংলাদেশে নাই। কালো টাকার মালিকরা এখন বেশিরভাগ গণমাধ্যমের মালিক।
আজ রোববার (২৬ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তিন দশক পূর্তি অনুষ্ঠানে বিএনপির পক্ষ থেকে কেক কাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রিজভী এসব কথা বলেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য সুখকর বিষয় নয়। সাংবাদিকদের জন্য এই আইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এমন একটি আইন, যে আইন থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যাঁরা মুক্ত চিন্তার মানুষ, তাঁরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে কারাবন্দি হয়েছেন, এমন একটি আইন দেশে বিদ্যমান। এমন পরিস্থিতিতে সংবাদপত্রের পথচলা দুঃসাধ্যের বিষয়। বর্তমান এই রাজনৈতিক বিভাজনের সময় ডিআরইউ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কঠিন পরিস্থিতিতেও বিভিন্ন দল ও মতের মানুষ এখানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। দুপুর ১২টার দিকে সেগুনবাগিচায় সংগঠনের প্রধান কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। সেগুনবাগিচার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবার একই স্থানে এসে এটি শেষ হয়। এ সময় বাদক দলের সদস্যরা বিভিন্ন গানের সুর তোলেন। সঙ্গে ছিল সাজানো ঘোড়ার গাড়ি।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাবেক নারী সম্পাদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, ডিইউজের সহ সভাপতি রাশেদুল হক, রফিক মোহাম্মদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, ডিআরইউ বহুমুখী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম খোকনসহ সংগঠনের সাবেক নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।