সিলেটে এখনও পানিবন্দি ৫ লক্ষাধিক মানুষ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/31/silett_bnyaa.jpg)
আকস্মিক বন্যায় এখনও পানিবন্দি সিলেটের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট অঞ্চলের নদীর পানি বাড়ছিল গত মঙ্গলবার (২৮ মে) থেকেই। বুধবার রাতে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আকস্মিক এ বন্যায় প্লাবিত হয় সিলেটের অন্তত সাত উপজেলার নিম্নঞ্চল। গতকাল বৃহস্পতিবারও অব্যাহতভাবে বেড়েছে নদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। বন্যা পরিস্থিতিতে জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
তিন দিন ধরে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে সীমান্তের ওপার থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে নিন্মাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। বৃষ্টি কমে এলেও পাহাড়ি ঢলের কারণে বেশিরভাগ নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ শুক্রবার (৩১ মে) সকাল থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও সুরমা নদী উপচে জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে সিলেট মহানগরীর নদী তীরবর্তী এলাকা। বন্যার কারণে সিলেটের জাফলং, বিছানাকান্দি, সাদা পাথরসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। বন্যা পরিস্থিতিতে ছুটি বাতিল করা হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বন্যা কবলিতদের কাছে পৌঁছানো হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘নগরের কাজিরবাজার এবং আরও বেশ কিছু এলাকায় নদীর পানি প্রবেশ করেছে। তবে বৃষ্টি না হলে দ্রুতই নেমে যাবে এই পানি।’