যাত্রী কল্যাণ সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পরিবহণ মালিক সমিতি
বাস মালিকদের ‘প্রেসক্রিপশনে’ কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে বলে গত ৩০ মে সংবাদমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই বিবৃতির প্রমাণ আগামী তিনদিনের মধ্যে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য বলেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। অন্যথায় পরিবহণ মালিক সমিতি যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আজ সোমবার (৩ জুন) দুপুরে সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামদানী খন্দকারের পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা জানান। বিবৃতিতে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি মসিউর রহমান রাঙ্গা, কার্যকরী সভাপতি হাজী আলাউদ্দিন এবং মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ মে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কথিত বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন যে, বাস মালিকদের প্রেসক্রিপশনে (চাপে) কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেন বন্ধ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজর রুটে যাত্রীরা যখন এই ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াত করছিলেন তখন সব পরিবহণে যাত্রী সংকট দেখা দিলে মালিকেরা এই রুটে বাস ভাড়া যাত্রীপ্রতি ১০০ টাকা পর্যন্ত কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়। তারপরও বাসে যাত্রী না পাওয়ায় বাস মালিকরা রেল প্রশাসনের কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে ফেলেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। যা দেশের অনলাইন পত্রিকাসহ জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছে।
দেশের সড়ক পরিবহণ সেক্টরকে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রতিপক্ষ বানানোর অসৎ উদ্দেশ্যেই যাত্রী কল্যাণ সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব মনগড়া তথ্য পরিবেশন করেছেন। এতে দেশের জনগণের নিকট আমাদের সমিতির নেতারাসহ পরিবহণ মালিকদের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি কিসের ভিত্তিতে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে তার প্রমাণাদি আগামী তিনদিনের মধ্যে জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ করার জন্য বলা হল। অন্যথায়, ওই সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।