প্রস্তুত শোলাকিয়া মাঠ, ঈদ জামাত শুরু সকাল ৯টায়
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া মাঠে ঈদুল আজহার জামাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ১৮২৮ সালে প্রথম অনুষ্ঠিত জামাতের হিসাবে এটি হবে ঈদুল আজহার ১৯৭তম জামাত। জামাত নির্বিঘ্ন করতে মুসুল্লিদের সব ধরনের সুবিধাদিসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ঈদের জামাত পরিচালনা করবেন স্থানীয় মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান। দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেন দুটি ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে মুসুল্লি নিয়ে এসে নামাজ শেষে পুনরায় ফিরে যাবে।
সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠান নিয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, ঈদগাহ কমিটির কর্মকর্তাদের তৎপড়তা ও দিন-রাতের পরিশ্রমে নামাজের উপযোগী হয়ে উঠেছে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। আজ দুপুরেও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখসহ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি র্যাব কর্মকর্তারা মাঠ তদারকি করেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানানম, সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর দেওয়ান হয়বত খান বাহাদুর কিশোরগঞ্জের জমিদারি প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে প্রায় সাত একর জমির উপর এ ঈদগাহ মাঠ প্রতিষ্ঠা করেন। সে বছর শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে সোয়া লাখ মুসুল্লি অংশগ্রহণ করেন বলে মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখি মাঠ’। সেখান থেকে উচ্চারণের বিবর্তনে নাম ধারণ করেছে আজকের শোলাকিয়া মাঠ। মাঠে একসঙ্গে দুই লাখেরও বেশি মুসল্লি জামাতে নামাজ আদায় করেন। প্রায় সাত একর আয়তনের মাঠটিতে ২৬৫টি কাতার রয়েছে।