সিলেটে দ্বিতীয় দফার বন্যায় পাঁচ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত
সিলেট ২০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে জেলার দশ উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ নতুন করে পানিবন্দি হয়েছেন। নগরীতেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের সবগুলো নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে দশ উপজেলার অর্ধ সহস্রাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বালাগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলায় দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পানি প্রবেশ করায় অনেক পরিবার উঁচু সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে পাঁচ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জি মেঘালয় এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বাড়ছে নদীর পানির উচ্চতা। সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও জাফলং নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। এরই মধ্যে দশ উপজেলার অর্ধ সহস্রাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী খুশিমোহন সরকার জানান, পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটের তিনটি নদীর ছয়টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। এছাড়া সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসেন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
এদিকে, ভারতের আইএমডির তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপকরঞ্জন দাশ বলেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢল নেমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতে বৃষ্টিপাত কমে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।