বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, নেত্রকোনায় ত্রাণ নিয়ে জেলা প্রশাসক
অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিপর্যস্ত নেত্রকোনায় দেখা মিলেছে রোদের। প্রায় পাঁচদিন পর শুক্রবারের (২১ জুন) রৌদ্রোজ্জ্বল সকাল মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিপর্যস্ত বানবাসী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক।
নেত্রকোনার কংশ, সোমেশ্বরী, ধনুসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে কমেছে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি।
তবে বৃষ্টি কমলেও পাহাড়ি ঢলের কারণে ক্রমাগতভাবে নিম্নাঞ্চলে বেড়ে চলছে পানি। সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দাসহ তিন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, সীমান্তের উব্দাখালী নদীর পানি কলামাকান্দা অংশে আজ বিকেলেও বিপদসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
কলমাকান্দার সবকটি ইউনিয়নসহ বারহাট্টা ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাসাবাড়িতে পানি উঠতে শুরু হওয়ায় নৌকা ছাড়া বের হতে পারছেন না তারা। রান্নাঘর, গোয়াল ঘর ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগের শিকার বহু মানুষ। বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের সংকট।
বিপর্যস্ত বানবাসী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক। তিনি কলমাকান্দা উপজেলার কয়েকটি পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেন এবং মানুষের দুর্ভোগের কথা শোনেন।
এসময় জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুকনো খাবার, আশ্রয়কেন্দ্র, উদ্ধারকারী দল, মেডিকেল টিমসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। যেখানেই পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষ সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন আমাদের নজরদারি রয়েছে। পানি না নামা পর্যন্ত আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
পরে তিনি পানিবন্দি মানুষের মাঝে চাল ডাল তেল লবণসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেন।