সিটিজেন টিভিকাণ্ড : শফিকুর-নাফিজের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুদকে আবেদন
সিটিজেন টিভিকাণ্ডে সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান ও চৌধুরী নাফিজ সরাফাতসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন করা হয়েছে। আজ রোববার (২৩ জুন) চেয়ারম্যানের কাছে এ আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. সরোয়ার হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, শফিকুর রহমান একজন আইনপ্রণেতা ও সাংবাদিকনেতা হওয়া সত্ত্বেও ‘তার কাছ থেকে শেয়ার লিখে নেওয়া’র পর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করা অদায়িত্বশীলতা এবং সন্দেহজনক। এ ব্যাপারে তার দুর্নীতি তথা মানি লন্ডারিং থাকতে পারে। এ কারণে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে উল্লেখিত পত্রিকা প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু আমলে নিয়ে শফিকুর রহমান, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদকে তদন্ত চলমান। রিট পিটিশন ৪৪২৫/২০২৪-এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন দুমাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে সিটিজেন টিভির চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, তাকে গভীর রাতে বাসা থেকে একজন (চৌধুরী নাফিজ সরাফাত) বেনজীরের কাছে নিয়ে যান। এরপর (সিটিজেন টিভির) শেয়ার লিখে নেওয়া হয়। চার-পাঁচ বছর আগে সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানকে রাতে তার বাসা থেকে তুলে হোটেল ওয়েস্টিনের নিচ তলায় বেনজীরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে রুট গ্রুপের মালিক রাজ্জাকুল হোসেন টুটুল, নাফিজ সরাফাতসহ আরও দুজন উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, একrর্যায়ে বিভিন্নভাবে ব্লাকমেইল ও প্রতারণার মাধ্যমে শফিকুর রহমানের সই নিয়ে সিটিজেন টিভির শেয়ার হস্তান্তর করে নেওয়া হয়। পরে শফিকুর রহমান জানতে পারেন, তার নামে সিটিজেন টিভির ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এবং বেনজীরের দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে যথাক্রমে ১৫ শতাংশ করে মোট ৩০ শতাংশ শেয়ার, আরেকজনের নামে (অজ্ঞাত) ২৫ শতাংশ শেয়ার এবং টুটুনের নামে রয়েছে ১৫ শতাংশ শেয়ার। শফিকুর রহমানের ভাষ্যমতে চার-পাঁচ বছর পার হলেও তিনি এ বিষয়ে কিছু করতে পারেননি।