জামিন পেলেন পরী মণি
মারধর, হত্যাচেষ্টা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন অভিনেত্রী পরী মণি। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে চিফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন পরী মণি। পরে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন পরী মণির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের জামিনের আবেদনও মঞ্জুর করেন আদালত। পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২১ সালের ৬ জুলাই ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হাসানের আদালতে বোট ক্লাবের সভাপতি ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে পরী মণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পরী মণি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামীদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ না চলে যান। পরী মণি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরী মণি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাদী নাসির উদ্দিনকে ডাক দেন এবং তাদের সঙ্গে কিছু সময় বসার অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে পরী মণি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন এবং একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরী মণি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী ও আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমণি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় ও বুকে আঘাত পান।
বাদী মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, পরী মণি ও তার সহযোগীরা তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে। এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরী মণি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।
ব্যবসায়ী নাসিরের করা এ মামলায় গত ১৮ মার্চ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে উওল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন। পরবর্তীতে আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে ২৫ জুন (আজ) পরীমণি ও জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছিলেন।