‘গতানুগতিক বাজেট, ঝুঁকিপূর্ণ রিজার্ভ’
রিজার্ভকে নিরাপদ মাত্রায় রাখতে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ রাখতে হয় দেশে। সেক্ষেত্রে আমাদের (দেশ) রিজার্ভ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নেমে এসেছে। এমনটা দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক।
আজ শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় জি এম কাদের এসব কথা বলেন। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জি এম কাদের বলেন, কোনো দেশের রিজার্ভকে নিরাপদ মাত্রায় রাখতে হলে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ রাখতে হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের রিজার্ভ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নেমে এসেছে বলা যাচ্ছে। রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় যতক্ষণ না দেশের মোট আমদানি ব্যয়ের সমান বা বেশি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত রিজার্ভের ক্রমাবনতি অব্যাহত থাকবে।
ইতোমধ্যে আইএমএফের ঋণের ছাড় ও অন্যান্য বিদেশি সাহায্য বা অন্যান্য ঋণের অর্থে রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, কিন্তু এই রিজার্ভ সামনে কমতে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না রপ্তানি ও প্রবাসী আয় আমদানি ব্যয়ের চেয়ে বেশি থাকবে।
বর্তমানে আমদানি ব্যয় যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করার পরেও রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমদানি ব্যয় একটা পর্যায়ে নিচে কখনই নামানো সম্ভব হবে না। যেহেতু দেশে আমদানি চাহিদার একটি নিম্নতম স্তর আছে।
রিজার্ভের হ্রাস এবং আমদানি হ্রাস পেলে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি হয় মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, এতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং মূল্যস্ফীতি হয়। ফলে আমদানি ব্যয় সংকোচনের ফলে সর্বনিম্ন স্তরে নিয়ে আসার মাধ্যমে যদি রিজার্ভের স্থিতিশীল অবস্থা ধরে রাখা না যায়, তাহলে বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখা দেবে অর্থনীতিতে।
প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক মন্তব্য করে জি এম কাদের বলেন, গত চার-পাঁচ অর্থবছরের আগে বাজেট যে ধরনের ধারণার ওপর তৈরি করা হয়েছিল, সেই ধারণা এখনও বজায় রেখে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। আরও বলেন, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশা আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী, কোনো দিকনির্দেশনা এবারের বাজেটে লক্ষ্য করা যায় না।