চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ, বিক্রি কম
এত দিন চাঁদপুরের বাজারে ইলিশের সরবরাহ ছিল কম। গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে সাগরে ইলিশ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তাই আজ বুধবার (২৪ জুলাই) দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বেড়েছে ইলিশের আমদানি । নদীপথে চাঁদপুরের মাছের আড়তে এসেছে এসব ইলিশ। তবে কারফিউয়ের প্রভাবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম।
আজ দুপুরে শহরের বড় স্টেশন মাছ ঘাটে ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের হাঁক-ডাকে জমে উঠেছে আড়ত। তবে এর আগে গত কয়েকদিন যেসব ইলিশ মাছঘাটে এসেছে তা দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পরিবহণ সংকটে পড়েন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী নবির হোসেন জানান, স্থানীয় নদ-নদী থেকে আহরিত ইলিশ চলমান কারফিউর কারণে গত কয়েক দিন অন্যান্য জেলায় পাঠানো সম্ভব হয়নি। ব্যবসায়ীরাও ইলিশ নিতে আসতে পারেননি। কারফিউর কারণে পরিবহণ মালিকরা গাড়ি চালাতে নারাজ। বর্তমানে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ হাজার টাকা, এক কেজির ইলিশ এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৫০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
ঘাটে আসা ক্রেতা হানু চন্দ্র দাস বলেন, ‘ঘাটের কয়েকটা আড়ৎ ঘুরে দেখেছি স্থানীয় ও আমদানি করা সব ইলিশেরই দাম বেশি। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।’
হাজীগঞ্জ থেকে আসা ক্রেতা মামুন ও মোজাম্মেল বলেন, ‘বাড়ি চাঁদপুর জেলায় হলেও ইলিশের স্বাদ নিতে পারি না। দাম অনেক বেশি, কেনার সাধ্য নেই। দামদর করছি, যদি মিলে যায় কিনব।’
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, ‘গত বছর ইলিশের এই মৌসুমে আড়াই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। কিন্তু, এবার অনেক নিচে চলে এসেছে ইলিশের আমদানি। এখন প্রতিদিন স্থানীয় পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে গড়ে ১৫০ থেকে ২২০ মণ ইলিশ আমদানি হচ্ছে। ইলিশ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভাবতে হবে।’
সামনের দিনগুলোতে বাজারে ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করে চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় বছরজুড়েই জেলেরা ইলিশ পায়। এখন ইলিশের ভরা মৌসুম, তাই সামনে ইলিশের আমদানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’